কক্সবাজারের মরিচ্যা-রামু সড়কে বড়ডেবা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ দুজন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবির সদস্যরা।
অভিযানের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে নায়েক সুবাদার মাহমুদুল হাসান বলেন, গত রোববার বিকেলে মরিচ্যা বিজিবি চেকপোস্টের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টমটম গাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৬ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৩ টি মোবাইল সেট জব্দ করে।
ইয়াবা পাচারের সময় আটক ইয়াবা কারবারিরা হলেন রামু উপজেলার খুনিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব ধেছুয়া পালং সুরত আলম বান্ডুর ছেলে কফিল উদ্দিন রানা ও কুমিল্লার মৃত রহমত আলীর ছেলে শামশুল আলম। মাহমুদুল হক নামের একজন ইয়াবা পাচারকারী পলাতক রয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানান, মিয়ানমারের নাগরিক মাহমুদুল হক তার ইয়াবা সিন্ডকেট আরো শক্তিশালী করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার পথ আরো সহজ করার জন্য, বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে বান্ডুর মেয়েকে অর্থাৎ কফিল উদ্দিন রানার বোনকে বিয়ে করে। দীর্ঘদিন ধরে খুনিয়াপালং-এ রানার বাড়ির পাশেই সে বাড়ি করে বসবাস করে। খুনিয়াপালং আসার পর থেকেই ছাত্রনেতা কফিল উদ্দিন রানাকে সামনে দিয়ে তারা শালা-দুলাভাই সহ পুরো সিন্ডিকেট মিলে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিল। পূর্ব ধেছুয়া পালং গ্রামের মৃত ইউসুফের ছেলে মোহাম্মদ নূর প্রকাশ পুতুইয়া একই ইয়াবার সিন্ডিকেটে জড়িত।
কফিল উদ্দিন রানাও তার ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্নি কিসোর গ্যাং ও ছাত্র-নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। সবার সাথেই সে সু-সম্পর্ক বজায় রাখে। তার ফেইসবুক আইডিতেও দেখা যায় এই সব সখ্যতার প্রমাণ।
এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফারুক ইব্রাহিমের নির্দেশে মরিচ্যা বিজিবির চেকপোষ্টে নায়েক সুবাদার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে বিজিবির সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় মামলা দায়ের করার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মরিচা বিজিবি চেকপোস্টের নায়েক সুবেদার।
Leave a Reply