Advertisement

উখিয়ার পালংখালী- থাইংখালী খাল সংস্কার না করার ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ 📺 Palong TV

উখিয়ার পালংখালি ইউনিয়নে খাল- নালা সংস্কার না হওয়ার ফলে পানি চলাচলের ড্রেইনের ব্যাবস্থা না থাকা সহ খাল বিল মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে
গত ২৬ জুলাই শুরু হওয়া টানা অতিবৃষ্টির ফলে খালের ঢলে পানির স্রোতে পালংখালি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি বন্দী হয়ে থাকা মানুষ গুলো এখনো দুর্দশার দিন শেষ হয়নি।
পার করছে সংকটময় দিন খাবার পানির সংকট থেকে শুরু করে রান্না করার পরিবেশ সহ বাসস্থান অনুপযোগী হওয়ায় দিন জাপন করছে অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাসায় আবার অনেকে দিন যাপন করছে সরকারি স্কুলে।
আমরা থাইংখালী পন্ডিত পাড়া সরেজমিনে গিয়ে নুরুল ইসলাম এর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি এই প্রবল বর্ষায় ভেঙে চোরমার হয়ে গেছে আমার বাড়ি কোন আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকার পরিবেশ না থাকায় আমাদের রাত কাটাতে হচ্ছে সরকারী স্কুলে।

অন্যদিকে পশ্চিম থাইংখালী ভেঙ্গে গেছে গোলজার বেগমের বাড়ি, তিন মেয়ে দুই ছেলের টানাপোড়েনের সংসার তারই মাঝে ঘরের সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে গোলজার আমরা তাহার সাথে কথা বলি, তিনি বলেন আমি অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন রাত এক করে সস্তা টিন আর ত্রিপল দিয়ে কোন রকম মাটি ভরাট করে ঘরটা করেছিলাম কিন্তু কালনাগিনী ঝড়ের পানিতে আমার ঘরটি ভেঙে কুড়িয়ে নিয়ে যায়। আমার বসবাস করার পরিবেশ না থাকায় সপরিবারে আমার ভাইয়ের বাসায় দিন রাত পার করতেছি।

৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজ উদ্দিন বলেন খাল সংস্কার করনের কাজ গুলো কেন হচ্ছে না তিনি সংশ্লিষ্টের কাছে জানতে চেয়ে এক বিবৃতিতে বলেন সরকারের তত্ত্বঅনুযায়ী পালংখালি -থাইংখালী সকল খাল খনন করার কথা থাকলেও খনন করা হয়নি বিপদাপন্ন খাল গুলো দ্রুত খনন করা দরকার।

পালংখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফজল কাদের চৌধুরী(ভুট্টো) বলেন থাইংখালী কবরস্থানের পাশে যে পানি চলাচলের নালা ও চাষের জমি ছিল এগুলো ভরাট করে প্রাসাদ নির্মাণ করায় পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ফলে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

পালংখালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এম এ মনজুর বলেন। পানি চলাচলের যায়গা গুলো ভরাট করে প্রাসাদ নির্মাণ ও দোকান ঘর তৈরি করার ফলে পানি অচল ও খাল খনন না করার কারণে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

৫নং পালংখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম,গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন গেল ২৫ শে আগষ্ট ২০১৭ সালে মায়ানমার সেনা বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য ৪ হাজার ১ শ একর পাহার,স্কেবেটার গাড়ির এর মাধ্যমে পাহাড় কেটে সমতল করে এনজিও আইএনজিওর অফিস, স্কুল,বিনোদন কেন্দ্র রোহিঙ্গাদের জন্য বাসা বাড়ি সহ বিভিন্ন কিছুর কাজ করা হয় এমতাবস্থায় আমি গিয়ে পাহাড় কাঁটার ৪টি স্কেবেটার গাড়ি জব্দ করে প্রশাসনের কাছে তোলে দিয়েছিলাম। পরে গোপনে গোপনে তাহারা পাহাড় কেটে ফেলে তাহার ফলে ঐ পাহাড় ভাঙনের ঝরা মাটি গুলো গিয়ে খাল,বিল,নদী,নালা,৫ ফুট পরিমাণ ভরাট হয়ে যায়।

পানি চলাচলের সুব্যাস্থা না থাকায় এই ইউনিয়নে প্রতি বছর জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
তবে এইবার পাহাড়ের ভাঙন বেশি হওয়াতে ৩০০০ হাজার পরিবার প্লাবিত হয়ে ভেঙে যাওয়া ৬ ওয়ার্ডে ৮০ বাড়ি ঘরের ছবি সহ তালিকা পাওয়া গেছে তবে ৪,৬,৮, নং ওয়ার্ডের তালিকা না পাওয়ায় আনুমানিক ৫০ টি বাড়ি ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
চিংড়ি গ্যার নষ্ট হয় ৩ হাজার একর। ধ্বংস হয়ে যায় ২৫ টি পুকুর মোট তিন একর পুকুরের মাছ। ৩ শ একর চাষের জমি।
৩২ একর রুপনকৃত ধান চাষ ।৩ হাজার একর মাছের প্রজেট। ২ শ পানের বরজ। ১৫০ একর ক্ষেত ও সবজি চাষ ৷ মুরগির খামার ১০০ টি।
কার্পেটিং রোড ৫ কিঃ মিটার । এইচ বি বি আই রোড ৭ কিঃ মিটার। ফ্লাট সলিম ১১ কিঃ মিটার। কাচা রাস্তা ১৭ কিঃ মিটার।
তিনি আর জানান অতি তাড়াতাড়ি খাল সংস্কার করা না হলে আর বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি ও জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *