বহুল আলোচিত রোহিঙ্গা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে সন্ত্রাসী আরএসও গ্রুপ! হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আলীকিন সদস্যদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় শুরু হয়। একই সাথে বাড়ানো হয় প্রশাসনিক নজরদারি। তবে এরই ফাঁকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ছোট ছোট সংগঠনগুলো তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করে। জানা যায় তার্ অত্যন্ত সুকৌশলে বিভিন্ন ক্যাম্পের হেড মাঝি, ব্লকমাঝি, সাবব্লকের মাঝি থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব হাতিয়ে নেয়।
এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি নাম গোপনে সোর্সের মাধ্যমে প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এদের মধ্যে রয়েছে,
ইসলামী মাহাসের নেতা-১৮নং ক্যাম্পের মৌলভী রফিক কমান্ডার, পিতা- নুরুল ইসলাম, মৌলভী দিল মোহাম্মদ(প্রকাশ-হালিম সাহেব), কাদের, পিতা- গুরা মিয়া, হারুন, পিতা – গুরা মিয়া, সাহাব উদ্দিন, পিতা- ছিদ্দিক আহমদ, নাইম উদ্দিন, পিতা- ছিদ্দিক আহমদ, রহমত উল্লাহ, পিতা- নুর জামান।
রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) লিডারদের মধ্যে-১২নং ক্যাম্পে জি-৯ এ আবদুল্লাহ, পিতা- আলী যোহর , ১২নং ক্যাম্পে এইচ-৬ এ খুর্শেদ, ১৯ নং ক্যাম্পে মাহবুবুর রহমান, দিনে সেনাবাহিনীর ভলান্টিয়ার রাতে আরএসও’র হয়ে ক্যাম্প ১১তে কাজ করে মোঃ আল আমিন, তার অবস্থান এ-৩ তে। ১১ নং ক্যাম্পের হেড মাঝি সাব্বির’ও আরএসও’র সদস্য বলে যানা গেছে। ১১ নং ক্যাম্পে এ-৩ এর নুরুল ইসলাম, পিতা- হামিদ হোছন, ১ নং ক্যাম্পে ই-৭ এর সাহাব মিয়া পিতা- আবদু ছালামও আরএসও’র নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে যানা গেছে।
মুন্না গ্রুপের নেতা মুন্না!
আর রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেছে মুন্না গ্রুপের প্রধান মুন্না ও সহযোগীরা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, আলিকিন দমনের পর তারা কিছুদিন শান্তিতে থাকতে পারলেও নতুন করে গড়ে উঠেছে কিছু বাহিনি। তারা রাতে টহলের নামে বিভিন্ন পরিবার থেকে সুন্দরী মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করতেছে বলে অভিযোগ আসে। ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে যুবকদের ধরে নিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে, পরে কিছু মাদক বা অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী বা মাদক ব্যাবসায়ী সাজিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দিচ্ছে। অনেককে আবার ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর কোন খোঁজ খবর পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ আসে।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, ইসলামি মাহাসের নেতারা ক্যাম্প প্রশাসনের চোখে ভালো সেজে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা ক্যাম্পে মসজিদ ও মাদ্রাসাকে ব্যবহার করে অপরাধগুলো সংঘটিত করছে। ক্যাম্প ইনচার্জের চারিপাশে ইসলামি মাহাস ও আরএসও’র নেতাদের অবস্থান বিধায় সাধারণ রোহিঙ্গারা ক্যাম্প প্রশাসনকে অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাচ্ছে না। তারপরও যারা দুঃসাহস দেখিয়ে অভিযোগ করে তাদেরকে প্রথমে বাড়িতে গিয়ে হুশিয়ারী পরে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়।
সাধারণ রোহিঙ্গারা এই ধর্মীয় লেবাসধারী সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মুক্তি পেতে ক্যাম্প ইনচার্জ ও ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply