আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো বিদেশি যোদ্ধা অংশ নিতে চাইলে সাময়িকভাবে তাদের ভিসা লাগবে না। আগ্রাসী রাশিয়ার নাগরিক ছাড়া যে কেউ ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
গত সোমবার (২৮ই ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টেলিভিশন বার্তায় এ কথা জানান।
জেলেনস্কি বলেন, যেকোনো বিদেশি যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাদের জন্য ভিসা ফ্রি ভ্রমণ ১ মার্চ থেকে চালু হবে।
এ সময় তিনি খারকিভে সোমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন।
জেলেনস্কি বলেন, শান্তিপ্রিয় ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার জন্য পৃথিবীর কেউ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন পশ্চিমা দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ান বিমান নিজেদের আকাশপথ নিষিদ্ধ করে। পাল্টা ব্যবস্থা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, স্পেন, ইতালি, কানাডাসহ ৩৬টি দেশের এয়ারলাইনসের ফ্লাইট নিষিদ্ধ করে রাশিয়া।
আরও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে পারমাণবিক বোমা সক্রিয় করা হয়েছে। এখন যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে এই বিধ্বংসী বোমার ব্যবহার করতে পারবে রুশ সামরিক বাহিনী।
যুদ্ধ-বিরতিতে আসতে সোমবার (২৮ই ফেব্রুয়ারি) বেলারুশে প্রথমবার আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তবে আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। দুই দেশকেই দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসতে হচ্ছে।
Leave a Reply