Advertisement

বালুখালীর শীর্ষ ইয়াবার গডফাদার চৌকিদার জুনু জেল থেকে এসে বেপরোয়া

সিন্ডিকেট তৈরি করে উখিয়ার পালংখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের বালুখালী ঘোনার পাড়া এলাকার আলী হোসেনের (ব্যারা) প্রথম পুত্র চৌকিদার জুনু (৩২) দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন এই ব্যবসা চালিয়ে গেলেও গত ২০২০সালে ইয়াবা নিয়ে প্রশাসনের কাছে ধরা পড়েন চৌকিদার জুনু (৩২)।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, সে মাদক ব্যবসাটি চালিয়ে যেতে যে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে তার মধ্যে রয়েছে তার আত্মীয় সজন। তার মধ্যে আপন ভাগিনারাও সুত্রে আরো জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে একই এলাকার সৈয়দ আলমের ছেলে তথা চৌকিদার জুনুর আপন ভাগিনা জাহাঙ্গীর (২৬) ৭০জাহার পিস ইয়াবাসহ প্রশাসনের সাথে গুলি বিনিময়ের সময় ক্রস ফায়ারে নিহত হয়।

শুধু তা নয় তার আপন ভাই জুনু চৌকিদারের ভাগিনা মাহমুদুল হক (২৮)কে গত ১৫জুন-২০২২ইং তারিখ কুতুপালং স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বের মায়ের দোয়া কপি হাউজের সামনে হতে ১লক্ষ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫ এর একটি চৌকস দল তার পরে উক্ত মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, ১৫/০৬/২২ইং মাহমুদুল হকের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট ছিলো ৩লক্ষ পিস। তবে প্রশাসনের কাছে আটক হয় মাত্র ১লক্ষ পিস ইয়াবা নিয়ে। স্থানীয় এক মুরব্বি বলেন, প্রশাসনের উপস্থিতির বিষয় জানতে পেরে চৌকিদার জুনু সু-কৌশলে বাকি ২লক্ষ পিস ইয়াবা চৌকিদারের হেফাজতে নিয়ে যায়। এলাকাবাসী বলছেন, এভাবে রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে এই মাদক ব্যবসা জীবনেও বন্ধ হবেনা। এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়ন হবে না।

তাই এলাকাবাসী বলেন, জৈনক চৌকিদার জুনুকে আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। এক ব্যাক্তি বলেন প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ও ব্যবসায়ীক লেনদেনে চৌকিদার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মধ্যে দিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বটবৃক্ষের ছাঁয়া হিসেবে কাজ করছে।

তথ্য সুত্রে জানা যায়, চৌকিদার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চৌকিদার মাদক মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর বালুখালী এলাকাকে আবারও দাপটে ইয়াবা স্বর্গরাজ্য পরিণত করেছে। দুঃখের বিষয় চৌকিদার জুনু জেল থেকে আসার পরও তার চাকরি ফিরে পায়। অনেকে বলেন সে চৌকিদারিকে পুঁজি করে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরো সে গ্রাম পুলিশের নামকে পুঁজি করে পলাতক আসামিসহ সকল অপরাধ কারীদের কাজ থেকে প্রতি মাসে মাসিক মাসোহারার অভিযোগও রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *