কক্সবাজারের টেকনাফ লেঙ্গুরবিল মিটা পানির ছড়া টেকনাফ পল্লীর মোঃ হাছন (৭২) এর মালিকানাধীন জমির দলিল জালিয়াতির মামলায় কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ পূর্ব বড়ুয়া পাড়ার মনি কুমার বড়ুয়া (৪০)সহ ২আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার (২৫ জুলাই২০২২) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর (টেকনাফ) আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। বাদি পক্ষের এডভোকেট ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোঃ আবদুল মন্নান।
জানা যায়, আসামি মনি কুমার বড়ুয়া কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়াড পূর্ব বড়ুয়া পাড়ার মৃত চান কুমার বড়ুয়ার ছেলে। অপর আসামি আবুল মনসুর (৩৫) কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মুহসিনিয়া পাড়ার বশির আহমদের ছেলে। তারা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালতের সিআর মামলা নং—৩৮০/২০১৮ ইং এর আসামি। যার ধারা—৪২০/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড।
মামলার বাদী টেকনাফ লেঙ্গুর বিলের মিটা পানির ছড়ার মৃত মকতুল হোসাইনের ছেলে মোঃ হাছন (৭২)।
টেকনাফ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ১০জন মিলে দলিল জালিয়াতির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার বাকি আসামিরা হলেন, নজরুল ইসলাম (৬৬), এমদাদুল ইসলাম (৭৮), মো. নুরুল আলম (৮৮), আবদুল কাইয়ুম, বেলালুল মোস্তফা, (৪৩) সলিমুল মোস্তফা, নাসির উদ্দিন ও সৈকত বড়ুয়া।
মামলাটি সরেজমিন তদন্তপূর্বক গত ৩১মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন কক্সবাজার সিআইডির ইন্সপেক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সাফ কবলা দলিল নং – ২২৯২, তাং—০১/০৭/২০১০ ইং ও সাফ কবলা দলিল নং—৪০৩৫ তাং ১৯/১২/২০১০ এর সহি মুহুরী নকলের ফটোকপি এবং সিআইডির অংগুলাংক বিশারদের মতামত পর্যালোচনায় বিবাদী নজরুল ইসলাম, এমদাদুল ইসলাম, মো. নুরুল আলম, মনি কুমার বড়ুয়া, আবুল মনসুর, আবদুল কাইয়ুম, বেলালুল মোস্তফা, নাসির উদ্দিন ও সৈকত বড়ুয়াগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পরস্পর যোগসাজোসে জালিয়ত সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
তাই মামলার ২আসাসীকে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।