বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদককে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলেও মুখোশধারী মাদক কারবারিদের কারণে মাদক নির্মূল করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তার পরেও প্রশাসন মাদক কারবারিদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
কিন্তু প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক দ্রব্য মরণ নেশা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শফির-বিল এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে ইয়াবা গডফাদার রায়াত উল্লাহ (প্রকাশ ইয়াবা রাহাত) এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি করে বেপরোয়া ভাবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলো! কিন্তু এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে দেওয়া হত বিভিন্ন হুমকি-ধমকিসহ ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দিবে বলে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
উক্ত তার ধারাবাহিক ইয়াবা চালানে সে কিছু দিন আগে ইয়াবাসহ গাজীপুরে প্রশাসনের জ্বালে আটক হয়ে জেল হাজতে যায়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ, কিন্তু সে প্রায় ২মাস আগে জামিনে বের হয়ে আবারো বেপরোয়া ভাবে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়াত মাদক ব্যবসা করে অল্প দিনেই বাড়ি ৩/৪টা সিএনজি, মটর সাইকেল, টমটম ইত্যাদি এগুলোর কোম্পানি বনে গেছে, যেমনটা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের মত বললে চলে। সে জিরু থেকে এখন হিরু, ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি হয়ে গেছে কোটি টাকার মালিক হয়েছে।
তথ্য সুত্রে জানা যায়, তার মাদক ব্যবসায় বিশ্বাসের সাথে সহযোগীতা করে যাচ্ছে তার ছোট্ট বোনের স্মামী। সে তার ক্রয়কৃত সিএনজি করে বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্ত এলাকা টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্য নিয়ে যেত এবং তা বিভিন্ন দিকে চালান করে থাকত। গোপন সুত্রে জানা যায় রায়াত জেল হাজতে থাকতেও ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে এখন খবর পাওয়া যায়।
এমন সংবাদ পেয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে সচেতন ব্যাক্তিরা বলেন এ ধরনের কাজ তাদের কারণে এলাকার ছাত্র ও যুবকদের উপর খুবই প্রভাবিত হচ্ছে। তার কারণে অনেক ছাত্রসহ অনেক যুবক মাদকাসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আরো জানা যায়, রায়াত ইয়াবা প্রচারে অনেক শিক্ষার্থীদেরও ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাদক কারবারি রাহাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদী নিরীহ লোককে মিথ্যা মামলা দিয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। অভিযুক্ত রায়াত উল্লাহর বিষয়ে একই এলাকার সাগর আলম বলেন, রাহাত মাদক কারবারি করে এখন কোটি কোটি টাকা মালিক কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন ছেলেটি ইয়াবা ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছের মত হয়েছে, তাকে এলাকার কোন লোক কিছু বললে তাকে মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে। আরেক লোক বলে রাহাত দীর্ঘ দিন কাল থেকে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছিলো তাই তাকে এলাকাতে অনেকে ইয়াবা রায়াত নামে পরিচিত।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তাই এলাকাবাসীর অনুরোধ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে তার জন্য প্রশাসনের নজরদারি জরুরী মনে করেন।
Leave a Reply