উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের রহমতের বিল এলাকার কলিম উল্লাহ (প্রকাশ কলিম উল্লাহ বলি) এর পুত্র জামাল উদ্দিন (২৯) প্রকাশ্যে ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাই তাকে মানুষ ইয়াবার এজেন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে । তাকে এলাকার সাধারণ মানুষ ইয়াবা জামাল নামে সম্মোধন করে থাকেন এবং ইয়াবা জামাল নামে পরিচিত।
সে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন দিকে মাদক বিক্রি করে এবং মানুষ বন্ধক রেখে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মাদকের বড় বড় চালান পাঠিয়ে থাকে।
সেই এর আগে মাদক নিয়ে প্রশাসনের হাতে বন্ধি হয়ে মাদক মামলায় জেল হাজতেও গিয়েছিলো। সে বৈধ কোন পেশার সাথে জড়িত না থাকলেও তথ্য সুত্রে জানা যায় যে, জামাল পালংখালী ইউনিয়নের তাঁতী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক বলে জানান সাধারণ জনগণ।
কিন্তু আমজনতার দাবি জামাল এখন লক্ষ কোটি টাকার মালিক, এলাকাবাসী বলেন জামালের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে সমস্যা! যেমন হত্যা, খুঁন, গুম এসব করতে দ্বিধাবোধ করে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন জামাল কিন্তু এখন আঙ্গুল পুলে কলা গাছের মত হয়েছে ৷ তবে তার এত ক্ষমতা কোথায় বলে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে বলেন, তার ভাই যেটা ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কামাল মেম্বার তার ক্ষমতায় সে এত বেপরোয়া।
উল্লেখ্য যে, কামাল মেম্বারের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে, এবং সে কামাল মেম্বার বর্তমানেও ইয়াবা মামলায় জেলে রয়েছেন। এলাকাবাসী আরো বলেন, কামাল মেম্বার মাদক নিয়ে জেলে গেলেও তার ছোট ভাই জামাল উদ্দিন তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিরা বলেন, বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় কাছাকাছি হওয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার রোহিঙ্গাদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করে জামাল এই ব্যবসা নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা হওয়ায় মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে ।
গেল কিছুদিন আগেও মাদক মামলায় জেল হাজতে ছিলো। কিন্তু সাধারণ মানুষ সমালোচনা করে বলেন একজন মাদক কারবারি তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হয়?
তথ্য সুত্রে জানা যায়, প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করেও অদৃশ্য কারণ বশত জামাল বেপরোয়া ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ! তাকে আইনের আওতায় এনে এলাকা তথা পুরো বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করার জন্য প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।
আরো খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি কাউকে তোয়াক্কা করে না। নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক তার এক প্রতিবেশী জানান সে এলাকার উঠতি বয়সী ছাত্র, শ্রমিক, যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর লোক টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করে মাদক বিক্রি ও পাচার করে আসছে, যারা আদান-প্রদান করে তাদের কে মাদক সেবন করিয়ে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করে এলাকার শান্ত পরিবেশকে নোংরা করে ফেলতেছে বলে জানান।
উক্ত বিষয়ে জামালের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জামালকে আইনের আওতায় এনে মাদকমুক্ত করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply