কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে করেছেন বেলজিয়ামের রানি ও জাতিসংঘ মহাসচিবের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) দূত মাথিল্ডে। গতকাল মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ইং) তিনি সকাল ০৯:৫০টার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। পরে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকেই মাথিলদা সরাসরি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের উদ্যেশে রওনা দেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেলজিয়ামের রানির শরনার্থী শিবির পরিদর্শন ও বিভিন্ন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে জাতিসংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ এবং এ দেশের আশ্রয়দাতা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেখা করার জন্য রানি এখানে এসেছিলেন।
শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, দুপুরে বেলজিয়ামের রানি উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪-এর শরণার্থী শিশুদের লার্নিং সেন্টারে মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ক্যাম্প ৫-এ গাছের চারা রোপণ করেন।
শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, বেলজিয়ামের রানির দিনব্যাপী সফরে শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের কার্যক্রম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় প্রশাসন এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় এনজিও সংস্থার পরিচালনাধীন গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, বায়োগ্যাস প্লান্টেশন, ইকো পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার, হলিচাইল্ড লার্নিং সেন্টার, উইমেন মার্কেট পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বান্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের সাথে কথা বলেছেন। রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেলজিয়ামের রানির এই পরিদর্শনের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, বেলজিয়ামের রানী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসাকে কেন্দ্র করে উখিয়া থানার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও পুরো ক্যাম্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো।
Leave a Reply