“বাংলাদেশ ছাত্রলীগ উখিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটিতে সদস্য পদে মনোনীত হওয়া আহসান ছিদ্দিক ইমনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নৌকার বিরোধিতা ও শিবির, ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
‘গত ১১ নভেম্বর ২০২১ খ্রি: তারিখ উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য বিরোধিতা করেন ইমন।ইমন তৎকালীন স্বতন্ত্র প্রার্থী, বর্তমান উখিয়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব, সাদমান জামি চৌধুরীর পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এইছাড়াও ইমন শিবিরের রাজনীতি এবং আবুল কাশেম নুর জাহান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কমিটিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। “আহসান ছিদ্দিক ইমনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অবগত করিলে সে মুঠোফোন কেটে দিয়ে বন্ধ করে দেয়।”
“”নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সদ্য কমিটিতে আসা একজন ছাত্রনেতা বলেন, ইমন নামের ছেলেটাকে কমিটিতে দেখে সত্যি আমি অবাক হলাম। কারণ এই ইমন কে এখনও ভাল মতে চিনি না। খবর নিয়ে দেখলাম তার পুরো পরিবার বিএনপি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। তার দাদাও নাকি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।”” তিনি আরও বলেন, আমার যৌবনের অর্ধেক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। কিন্তু ইমন রা বিএনপি পরিবার থেকে হুট করে এসে কি ভাবে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবী পাই! তবে, দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, এইসব ইমনরা ছাত্রলীগের জন্য কাল সাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। একই কথা বলেন, কমিটিতে আসা ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। “”উখিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ইমন ছাত্র দলের কমিটি তে ছিলো কি না এখন বলতে পারছি না। তবে, সে শাহাজাহান চৌধুরীর ভাতিজা জামি চৌধুরীর নির্বাচনে কট্টর সমর্থক ছিলেন।এই বিষয়ে, তৎকালীন রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উখিয়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব, সাদমান জামি চৌধুরী বলেন, আমার নির্বাচনে আমার জন্য অনেক আ:মীলীগ-ছাত্রলীগ নেতাককর্মীরা নির্বাচন করে ছিলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে।
‘তিনি আরও বলেন, ইমন নামের ছেলেটা আমার নির্বাচনী প্রচারণায় কি রকম ভূমিকা রেখেছে আসলে আমার জানা ছিল না। তবে, আপনার মাধ্যমে ছবিতে দেখে জানতে পারলাম, সে আমার নির্বাচনী কর্মী সভায় ছিল।
‘এই ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মো: মারুফ আদনান বলেন, বিষয়টা সম্পর্কে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ভাল জানবেন।
‘তবে, নারী কেলেঙ্কারি ও নৌকার বিরোধিতা এবং ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। যদি অভিযোগ আসে অবশ্যই তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন এর সাথে বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে সে ফোন রিসিভ না করাই আর যোগাযোগ হয়নি।’
“উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সদ্য ঘোষিত উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতৃত্বে কারা এসেছে আমি এখনো দেখিনি। কমিটি দেখেই আমি মন্তব্য করবো””””।
Leave a Reply